ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানের বিমানঘাঁটি আক্রান্ত

বিমানঘাঁটি

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চরমে। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটি আক্রান্ত হয়েছে। দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়ছে। ছবি: সংগ্রহ

ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু

২০২৫ সালের ১০ মে, শনিবার, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে, ভারতীয় বাহিনী তিনটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই হামলাগুলোর মধ্যে একটি ছিল রাজধানী ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে অবস্থিত নূর খান বিমানঘাঁটি। পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র আহমেদ শরীফ চৌধুরী রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারে জানান, “ভারত ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তিনটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে এবং কোনো উড়ন্ত সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।”

কাশ্মীর ইস্যুতে নতুন করে উত্তেজনা

এই সাম্প্রতিক হামলার পেছনে রয়েছে কাশ্মীর ইস্যুতে নতুন করে সৃষ্ট উত্তেজনা। দুই সপ্তাহ আগে, ভারতের কাশ্মীর অংশে একটি পর্যটকবাহী বাসে হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বা গোষ্ঠীকে দায়ী করে। পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানায়। এই ঘটনার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।

সীমান্তে গোলাগুলি ও ড্রোন হামলা

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি ও ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানের ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে এবং পাল্টা জবাব দিয়েছে। পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং দাবি করে যে, ভারত নিজেই তার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে। উভয় পক্ষই একে অপরকে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী করছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ

এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা উপমহাদেশের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি স্বরূপ। এই পরিস্থিতিতে, উভয় দেশের উচিত সংযম প্রদর্শন করা এবং কূটনৈতিক মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খোঁজা। যুদ্ধ কোনো সমস্যার সমাধান নয়; বরং এটি আরও জটিলতা সৃষ্টি করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *