ইউনুস উদ্বোধন করলেন নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্ম – দেশের ডিজিটাল সেবার

ড. মুহাম্মদ ইউনুস আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলেন নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্ম, যা দেশের নাগরিক সেবা ব্যবস্থাকে আরও সহজ, দ্রুত এবং প্রযুক্তিনির্ভর করে তুলবে। ছবিঃ ফেইসবুক
বিশ্বখ্যাত সমাজ উদ্যোক্তা ও অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুস
বিশ্বখ্যাত সমাজ উদ্যোক্তা ও অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুস সম্প্রতি দেশের ডিজিটাল সেবা ব্যবস্থাকে এক নতুন মাত্রায় উন্নীত করতে ‘নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্ম’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এই উদ্যোগটি বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি সেবা গ্রহণের পদ্ধতিকে পুরোপুরি রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। ডিজিটালাইজেশনকে সামনে রেখে দেশের নাগরিকদের জন্য সহজ, দ্রুত এবং স্বচ্ছ সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে তৈরি এই প্ল্যাটফর্মটি আগামীতে দেশের সেবাখাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ড. ইউনুসের এই উদ্যোগ সামাজিক উন্নয়ন ও প্রযুক্তির সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্মটির মূল লক্ষ্য হলো দেশের প্রতিটি নাগরিককে সরকারি বিভিন্ন সেবা যেমন নাগরিক সনদপত্র, জন্ম ও মৃত্যুসনদ, কর সংক্রান্ত তথ্য, লাইসেন্স, সামাজিক নিরাপত্তা বেনিফিটসহ আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ সেবা সহজলভ্য করে দেওয়া। প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যেকোনো সময় ও স্থান থেকে অনলাইনে এই সেবা গ্রহণ করা সম্ভব হবে, যা বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য অনেক বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। আগে যেখানে নাগরিকদের দীর্ঘ সময় সরকারি অফিসের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হত, সেখানে এই ডিজিটাল মাধ্যম অনেক সময় এবং খরচ বাঁচাবে। ফলে সেবা গ্রহণের প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, স্বচ্ছ ও ঝামেলামুক্ত হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনুস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছেন
ড. মুহাম্মদ ইউনুস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছেন, “নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সেবা দ্রুত ও সহজে পৌঁছে দেওয়া এখন সময়ের দাবি। প্রযুক্তির মাধ্যমে সেবা গ্রহণের পথ সুগম করলে দেশের মানুষ উন্নত জীবনযাত্রার অধিকার পাবে। নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্ম সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য আমাদের প্রথম পদক্ষেপ। এই প্ল্যাটফর্ম দেশের সকল মানুষের কাছে একটি সেবা কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে, যেখানে সরকারি এবং বেসরকারি সেবা এক ছাদের নিচে পাওয়া যাবে।” তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে, কিভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার দেশকে আরও এগিয়ে নিতে পারে এবং জনগণের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে পারে।
প্ল্যাটফর্মটির প্রযুক্তিগত দিকগুলো অত্যন্ত উন্নত ও নিরাপদভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। সহজ ব্যবহারযোগ্য ইন্টারফেস, শক্তিশালী সাইবার সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং মোবাইল-ফ্রেন্ডলি বৈশিষ্ট্যের কারণে যেকোনো ব্যবহারকারী, যেকোনো বয়সের ব্যক্তি সহজেই এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারবেন। পাশাপাশি, সার্ভারের দ্রুত সাড়া এবং তথ্যের সঠিক প্রক্রিয়াকরণ নিশ্চিত করার জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ডিজিটাল উদ্যোগ দেশের প্রযুক্তিগত পরিকাঠামোকে আরও মজবুত করবে এবং নাগরিক সেবাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।