নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে এনসিপির কঠোর সতর্কবার্তা

নির্বাচন কমিশন

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয়তাবাদী নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ এনে তারা সতর্ক করেছে, এমন অব্যবস্থা গণতন্ত্রকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ছবিঃ দিপু মালাকার

নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে উদ্বিগ্ন এনসিপি

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বহুবার। এবার জাতীয়তাবাদী নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরাসরি এই সংস্থার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছে। দলটি দাবি করেছে, কমিশন বর্তমানে যে সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ও যেভাবে আচরণ করছে, তাতে তারা নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে। এনসিপি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এই ধরনের আচরণ অব্যাহত থাকলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং গণতন্ত্রের মৌলিক কাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতা

নির্বাচন কমিশন সাধারণত একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সংস্থা হিসেবে বিবেচিত হলেও সম্প্রতি তাদের কিছু পদক্ষেপ রাজনৈতিক মহলে প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কমিশনের সিদ্ধান্ত নির্দিষ্ট দলের পক্ষে সুবিধাজনক হচ্ছে, যা স্বচ্ছ নির্বাচনের পথে বড় বাধা। দলটি আরো অভিযোগ করে যে প্রশাসন, পুলিশ এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজে ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নিঃস্পৃহতা পক্ষপাতিত্বের ইঙ্গিত দেয়। এই পরিস্থিতি রাজনৈতিক অঙ্গনে চরম অস্থিরতা ও সন্দেহের সৃষ্টি করছে।

গণতন্ত্র রক্ষায় নিরপেক্ষ কমিশনের গুরুত্ব

নির্বাচন হলো গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি, আর এই ভিত্তিকে দৃঢ় করার জন্য একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এনসিপি মনে করে, একটি পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ করতে পারে এবং রাষ্ট্রের মৌলিক গণতান্ত্রিক চেতনার উপর বড় আঘাত হানতে পারে। দলটি বলেছে, জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে কমিশনকে অবশ্যই নিরপেক্ষ আচরণ করতে হবে এবং প্রত্যেকটি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত থেকে সঠিক ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

গণতন্ত্র রক্ষায় নিরপেক্ষ কমিশনের গুরুত্ব

নির্বাচন হলো গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি, আর এই ভিত্তিকে দৃঢ় করার জন্য একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এনসিপি মনে করে, একটি পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ করতে পারে এবং রাষ্ট্রের মৌলিক গণতান্ত্রিক চেতনার উপর বড় আঘাত হানতে পারে। দলটি বলেছে, জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে কমিশনকে অবশ্যই নিরপেক্ষ আচরণ করতে হবে এবং প্রত্যেকটি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত থেকে সঠিক ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

পক্ষপাতিত্ব

ছবিঃ প্রথম আলো

সরকারের দায়িত্ব ও প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এনসিপি দাবি করেছে, বর্তমান সরকার কমিশনের কর্মকাণ্ডে প্রভাব বিস্তার করছে এবং এটি দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। তারা অভিযোগ করে, সরকার নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ করতে চাইছে। এনসিপি এই বিষয়ে স্পষ্টভাবে সরকারের জবাবদিহিতা দাবি করেছে এবং বলেছে, এই অবস্থা চলতে থাকলে জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি আস্থা একেবারেই ধ্বংস হয়ে যাবে।

আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও উদ্বেগ বাড়ছে। একাধিক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এনসিপি বলেছে, এই অবস্থায় যদি কমিশনের উপর জনগণের আস্থা ফেরানো না যায়, তবে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিদেশি বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক সাহায্য ও কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এই ধারা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

সমাধানের পথ হিসেবে জাতীয় সংলাপের প্রস্তাব

এনসিপি বিশ্বাস করে, নির্বাচন কমিশনের এই সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য একটি জাতীয় রাজনৈতিক সংলাপই হতে পারে সর্বোত্তম সমাধান। দলটি প্রস্তাব করেছে, একটি সর্বদলীয় বৈঠকের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের গঠন, দায়িত্ব ও কার্যপদ্ধতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হওয়া উচিত। এই সংলাপের মাধ্যমে একটি সর্বসম্মত রূপরেখা তৈরির আহ্বান জানিয়ে এনসিপি বলেছে, জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা এখন সময়ের দাবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *