ইয়ামালের ব্যালন ডি’অর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক, নিজেকে ফেভারিট বললেন

উঠতি তারকা লামিন ইয়ামাল ব্যালন ডি’অর বিতর্কে নিজের মত প্রকাশ করে আলোচনায় এসেছেন। তিনি বলেন, “আমি হলে নিজের কাছেই ব্যালন ডি’অর রাখতাম।” জানুন কী বললেন তিনি, কী প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ফুটবল দুনিয়া। ছবিঃ ফেইসবুক
ইয়ামালের মন্তব্যে নতুন মাত্রা ব্যালন ডি’অর ২০২৫ বিতর্কে
স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার উঠতি ফুটবল তারকা লামিন ইয়ামাল সম্প্রতি ব্যালন ডি’অর ২০২৫ নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করে আলোচনায় এসেছেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই যিনি ক্লাব ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নজর কাড়ছেন, সেই ইয়ামাল বলেন, “আমি হলে ব্যালন ডি’অর নিজের কাছেই রাখতাম।” তার এই মন্তব্য ঘিরে ফুটবল বিশ্বে নতুন করে বিতর্কের সঞ্চার হয়েছে, বিশেষ করে যখন মেসি, এমবাপে, ও হালান্ডদের নাম ঘুরে বেড়াচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে।
য়ামালের এই বক্তব্যের পেছনে যে কেবল আত্মবিশ্বাস রয়েছে তা নয়, রয়েছে তার খেলার মাঠে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সও। ২০২৪-২৫ মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যেই ১৫টির বেশি গোল করেছেন এবং অসংখ্য অ্যাসিস্টে সহায়তা করেছেন। আন্তর্জাতিক ম্যাচেও স্পেনের জার্সিতে তার অবদান উল্লেখযোগ্য। ফুটবল বিশ্লেষকরা বলছেন, ইয়ামালের বক্তব্য শুধু কথার ঝংকার নয়, মাঠে তার কাজের প্রতিফলন।
হালান্ড, এমবাপে নাকি ইয়ামাল?
ব্যালন ডি’অর ২০২৫ কে জিতবেন, তা নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। হালান্ড তার গোলস্কোরিং দক্ষতার কারণে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন। অন্যদিকে, এমবাপে ফ্রান্স এবং পিএসজির হয়ে দারুণ মৌসুম কাটিয়েছেন। কিন্তু ইয়ামালের কথায় ফুটবল অনুরাগীরা নতুন দৃষ্টিকোণ খুঁজে পাচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, তার বয়স কম হলেও ফুটবল বুদ্ধি ও আত্মবিশ্বাস অসাধারণ।ইয়ামালের মন্তব্য সামনে আসতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একদল ভক্ত বলছে, এই আত্মবিশ্বাসই তাকে ভবিষ্যতের মেসি করে তুলতে পারে। আবার অন্যরা বলছেন, এমন মন্তব্য তরুণ খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে পরিপক্বতার অভাব প্রকাশ করে। তবে সবাই একমত যে, ইয়ামাল ব্যতিক্রমী প্রতিভা এবং ভবিষ্যতে ব্যালন ডি’অর জয়ের অন্যতম দাবিদার।
কোচ ও সিনিয়র খেলোয়াড়দের প্রতিক্রিয়া
বার্সেলোনার কোচ ও ইয়ামালের সতীর্থরা তার এই বক্তব্যকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। ক্লাব কোচ বলেন, “একজন খেলোয়াড় যখন নিজেকে শীর্ষে ভাবতে পারে, তখনই তার উন্নতির পথ খুলে যায়।” মেসিও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইয়ামালের প্রশংসা করে বলেন, “ওর মধ্যে আমি ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দেখতে পাই।মিডিয়া হাউসগুলো এই মন্তব্য ঘিরে নানা বিশ্লেষণ করছে। অনেকেই বলছে, ইয়ামাল হয়তো ট্রলিংয়ের শিকার হতে পারেন, তবে অনেকেই এটাকে একজন তরুণ খেলোয়াড়ের আত্মবিশ্বাসী প্রকাশ হিসেবে দেখছেন। ফুটবল ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ব্যালন ডি’অর বিজয়ীদের অধিকাংশই তরুণ বয়স থেকেই নিজের যোগ্যতার কথা প্রকাশ করেছেন।
ইয়ামাল কি পারবে ইতিহাস গড়তে?
ব্যালন ডি’অর ২০২৫ যদিও এখনও বহু মাস দূরে, তবে ইয়ামালের পারফরম্যান্স যদি এমনই ধারাবাহিক থাকে, তাহলে তাকে চূড়ান্ত তালিকায় দেখাই যেতে পারে। শুধু গোল করা নয়, তার খেলার ধরন, কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি, ও দলীয় সমন্বয় তাকে অনন্য করেছে। যদি injuries না হয়, তাহলে ইয়ামাল ভবিষ্যতের ব্যালন ডি’অর জয়ী হতে পারেন, এই ভবিষ্যদ্বাণী এখনই করা যাচ্ছে।