ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ঐতিহাসিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত

ভারত ও যুক্তরাজ্য তিন বছরের আলোচনার পর একটি ঐতিহাসিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে। ছবিঃ পিটিআই
ভারত-যুক্তরাজ্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি: তিন বছরের আলোচনার সফল পরিণতি
ভারত ও যুক্তরাজ্য তিন বছরের দীর্ঘ আলোচনার পর একটি ঐতিহাসিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করবে এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
চুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যের উপর শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে, যা উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে, ব্রিটিশ হুইস্কি, জিন, গাড়ি এবং প্রসাধনী পণ্যের উপর ভারতের শুল্ক উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হয়েছে।
চুক্তির মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ
চুক্তির প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে:
- শুল্ক হ্রাস: ভারতের পক্ষ থেকে ব্রিটিশ হুইস্কি ও জিনের উপর শুল্ক ১৫০% থেকে ৪০% এ নামিয়ে আনা হবে দশ বছরের মধ্যে। গাড়ির উপর শুল্ক ১০০% থেকে ১০% এ কমানো হবে।
- ভারতীয় পণ্যের জন্য সুবিধা: যুক্তরাজ্য ভারতীয় বস্ত্র, খাদ্য ও অন্যান্য পণ্যের উপর শুল্ক হ্রাস করবে, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের জন্য লাভজনক হবে।
- সেবা খাতে সহযোগিতা: চুক্তির মাধ্যমে সেবা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে, বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি ও পরামর্শ সেবায়।
অর্থনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে উভয় দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে। চুক্তির মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বছরে £২৫.৫ বিলিয়ন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়াও, চুক্তির ফলে উভয় দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে এবং ভোক্তারা আরও সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য ও সেবা পাবেন।
নেতৃবৃন্দের প্রতিক্রিয়া
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এই চুক্তিকে একটি “ঐতিহাসিক মাইলফলক” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তারা উভয়েই বিশ্বাস করেন যে এই চুক্তি উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে এবং ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে।
ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি উভয় দেশের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। এটি কেবল অর্থনৈতিক সম্পর্ক নয়, বরং কূটনৈতিক সম্পর্ককেও আরও দৃঢ় করবে। ভবিষ্যতে এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশ আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে এবং পারস্পরিক উন্নয়নে সহায়তা করবে।