ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় ভারতের ২৪টি বিমানবন্দরে ফ্লাইট স্থগিত

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের ফলে ভারতের ২৪টি বিমানবন্দরে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। বিস্তারিত জানুন এই প্রতিবেদনে। ছবি: সংগ্রহ
সীমান্ত উত্তেজনায় ভারতের বিমান চলাচলে বিঘ্ন
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে, ভারত সরকার দেশের উত্তরাঞ্চলের ২৪টি বিমানবন্দরে বেসামরিক ফ্লাইট স্থগিত করেছে। বুধবার ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে “সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি” লক্ষ্য করে বিমান হামলার পর, দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই পাকিস্তানি নাগরিক।
কোন কোন বিমানবন্দরে ফ্লাইট স্থগিত?
ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (DGCA) বৃহস্পতিবার রাতে একটি তালিকা প্রকাশ করে, যেখানে উল্লেখ করা হয় যে, জোধপুর, লুধিয়ানা, অমৃতসরসহ সীমান্তবর্তী শহরগুলোর বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে, এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো এবং স্পাইসজেটসহ দেশের প্রধান এয়ারলাইন্সগুলো বুধবার থেকে ১০০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে।
ফ্লাইট স্থগিতাদেশ কবে উঠতে পারে?
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে ফ্লাইট স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হতে পারে। তবে, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এই স্থগিতাদেশ আরও বাড়তে পারে। meanwhile, অন্যান্য বিমানবন্দর থেকে যাত্রীরা যেন কমপক্ষে তিন ঘণ্টা আগে উপস্থিত হন, এমন নির্দেশনা দিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো, কারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
কাশ্মীর ইস্যু ও সাম্প্রতিক সংঘর্ষ
এই সাম্প্রতিক উত্তেজনার সূত্রপাত হয় দুই সপ্তাহ আগে, যখন ভারত সরকার পাকিস্তানকে কাশ্মীরের ভারত-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে পর্যটকদের উপর হামলার জন্য দায়ী করে। পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এরপর, দুই দেশ ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং গোলাবারুদ বিনিময় করে, যা কাশ্মীর সীমান্তে সংঘর্ষের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
যুদ্ধের আশঙ্কা ও আন্তর্জাতিক উদ্বেগ
এই সংঘর্ষের ফলে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, কারণ দুই দেশই পারমাণবিক অস্ত্রধারী। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, যদি পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তবে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দুই দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।