সিএ প্রফেসর ইউনুসের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সিএ প্রফেসর ইউনুসের উপস্থিতি শিক্ষার্থীদের জন্য উষ্ণ অভ্যর্থনা এবং অনুপ্রেরণা এনে দেয়। বিস্তারিত জানুন। ছবিঃ উংবি
সিএ প্রফেসর ইউনুসের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (CU) সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত সিএ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস। তার উপস্থিতি শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে এক উষ্ণ অভ্যর্থনা সৃষ্টি করে। এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি ছিল এক বিশেষ মাইলফলক, যেখানে প্রফেসর ইউনুস তার সাফল্য ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে তার অবদান তুলে ধরেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সিএ প্রফেসর ইউনুসের আগমনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে সাড়া পড়ে যায়। শিক্ষার্থীরা তার প্রতি নিজেদের শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ব্যানার এবং পোস্টারে তাকে স্বাগত জানায়। তার আগমনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ এক ভিন্ন মাত্রা লাভ করে।
উষ্ণ অভ্যর্থনা এবং এক নজরপ্রাপ্ত বক্তৃতা
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সিএ প্রফেসর ইউনুসকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং তাকে এক উষ্ণ অভ্যর্থনা প্রদান করা হয়। প্রফেসর ইউনুস তার বক্তৃতায় বলেন, “শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন এবং উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রা সম্ভব। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা দেশের ভবিষ্যতের নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”
তিনি বলেন, “আমি আজ এখানে এসেছি শুধু এই প্রতিষ্ঠানটির সাফল্যের জন্য নয়, বরং ভবিষ্যতের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা দিতে। তারা যাতে আমাদের সমাজকে আরও সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর এবং উন্নত করতে পারে।” প্রফেসরের বক্তব্যে উপস্থিত সবাই মুগ্ধ হয় এবং তার দিকনির্দেশনায় নতুন উদ্যোক্তা এবং সমাজসেবকদের উদ্দীপনা লাভ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান ও ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর শিরীন আখতার, শিক্ষকবৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা সিএ প্রফেসর ইউনুসের আগমনে উল্লাস প্রকাশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তার অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। উপাচার্য বলেন, “এমন একজন পৃথিবীজুড়ে পরিচিত ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের বিষয়।”
প্রফেসর ইউনুসের পরামর্শে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে আরও নতুন উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানায়, যা দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। তার মতামত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি শুধু জ্ঞান দেয়ার জায়গা নয়, বরং উদ্ভাবনী চিন্তা এবং সৃজনশীলতার বিকাশের কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত।
সিএ প্রফেসর ইউনুসের আগমন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান এবং অর্জন
এটি শুধু একটি সমাবর্তন অনুষ্ঠান ছিল না, বরং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় রচনা হয়েছিল। সিএ প্রফেসর ইউনুসের আগমন বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও সুনাম আরও বৃদ্ধি করেছে। তার নেতৃত্ব, চিন্তা-ভাবনা এবং সমাজের জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গি শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা আশাবাদী যে, সিএ প্রফেসরের উপস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং বাংলাদেশে উদ্যোক্তা ভিত্তিক শিক্ষা এবং সমাজ উন্নয়নের পথ আরও সুগম হবে।