চাকরি স্থায়ীকরণ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের বিক্ষোভ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গেট বন্ধ করে বকেয়া বেতন ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্দোলন।ছবি: ডেইলি ষ্টার

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গেট বন্ধ করে আন্দোলনে স্বাস্থ্যকর্মীরা

আজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (DGHS) গেট বন্ধ করে বকেয়া বেতন ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা আন্দোলনে নেমেছেন। এই আন্দোলনের ফলে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ভবনের ভিতরে আটকা পড়েছেন।​

আন্দোলনরত স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, তারা কোভিড-১৯ জরুরি সাড়া ও মহামারী প্রস্তুতি (ERPP) প্রকল্পের অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত। তাদের দাবি, জানুয়ারি মাস থেকে বেতন পাননি এবং প্রকল্পটি জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি।

ছবি: ডেইলি ষ্টার

কোভিড-১৯ মহামারীতে নিয়োগপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের অবস্থা

২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারীর সময়, স্বাস্থ্যসেবা শক্তিশালী করতে সরকার ৩৯৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়। পরবর্তীতে, আরও চিকিৎসক, নার্স ও প্রযুক্তিবিদ নিয়োগের মাধ্যমে এই সংখ্যা ১,১৫৪-এ পৌঁছায়। বর্তমানে, ১,০০৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী এই প্রকল্পের অধীনে কর্মরত আছেন।​

তাদের অভিযোগ, মহামারীর সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করলেও, এখন তারা বেতন পাচ্ছেন না এবং চাকরি স্থায়ীকরণের কোনো নিশ্চয়তা নেই।​

আন্দোলনের ধরণ ও কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া

আন্দোলনকারীরা রবিবার থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন এবং সোমবার থেকে অনশন শুরু করেন। আজ গেট বন্ধ করে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ান।​

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক পরিচালক জানান, “আমরা সবাই অফিসে আটকা পড়েছি এবং বাইরে যেতে পারছি না।”​

আন্দোলনকারীরা জানান, কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় তারা এই কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন।

স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

আন্দোলনরত স্বাস্থ্যকর্মীরা বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়ে আসছেন। তারা জানান, দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।​

তাদের মতে, মহামারীর সময় তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন এবং এখন তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।​স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গেট বন্ধ করে স্বাস্থ্যকর্মীদের এই আন্দোলন তাদের ন্যায্য দাবির প্রতিফলন। কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের প্রাপ্য অধিকার ফিরে পান এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতের স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।​

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *