ভারতে ঈদের নামাজে সরকারি নিষেধাজ্ঞা: ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ

ছবি: নিউস ডিকোডার
ঈদের নামাজে সরকারি বিধিনিষেধ: মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্বেগ
উত্তর প্রদেশের মেরঠে এবারের ঈদুল ফিতরের নামাজে সরকারি বিধিনিষেধ মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় প্রশাসন ঘোষণা করেছে, রাস্তায় বা অন্যান্য জনসাধারণের স্থানে নামাজ আদায় করলে পাসপোর্ট বাতিলসহ কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্তে প্রবাসী কর্মীরা যেমন আব্দুল কাদির, যিনি সৌদি আরব থেকে ঈদ উদযাপনের জন্য দেশে ফিরেছেন, তাদের জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে।
ধর্মীয় স্বাধীনতা ও বৈষম্যের অভিযোগ
মেরঠের মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কেন শুধুমাত্র ঈদের সময় রাস্তায় নামাজকে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হিসেবে দেখা হয়, যখন হোলি বা দীপাবলির মতো হিন্দু উৎসবগুলিতে রাস্তায় মিছিল ও অন্যান্য কার্যক্রম নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হয়। একজন দোকানদার বলেন, “আমাদের নামাজ মাত্র ২০ মিনিটের, তবুও এত বাধা কেন?”

ছবি: ইসলামিক রিলিফ
প্রশাসনের যুক্তি ও সমালোচনা
সরকারি কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, জনসাধারণের স্থানে বড় জমায়েত আইনশৃঙ্খলার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, তাই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী এবং সংবিধানের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে।
সাম্প্রতিক সহিংসতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
৩১ মার্চ, ঈদের নামাজের পর সিওয়ালখাসে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যেখানে গুলির শব্দ শোনা যায়। পুলিশ দ্রুত হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ধরনের ঘটনা প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়িয়েছে, তবে মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেই মনে করেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিবর্তে ধর্মীয় স্বাধীনতা সীমিত করা হচ্ছে।
ভারতের মতো বহুধর্মীয় দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঈদের নামাজের মতো শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় কার্যক্রমে সরকারি বিধিনিষেধ সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে এবং সংবিধানের মৌলিক অধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
সূত্র: News Decoder-এর প্রতিবেদন “When the government tells you that you cannot pray”।