ট্রাম্পের এআই-সৃষ্ট ছবি ও ডিজিটাল বিভ্রান্তি

এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যাটু ও গ্রেফতার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা ডিজিটাল বিভ্রান্তি ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর নতুন উদাহরণ। ছবি: টি ভার্জ
এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি ট্রাম্পের ছবি
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাকে ট্যাটু করা অবস্থায় বা গ্রেফতার হতে দেখা যায়। এই ছবিগুলো এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে, যা বাস্তব নয়। এই ধরনের ছবি ডিজিটাল বিভ্রান্তি ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর নতুন উদাহরণ।Dismislab
ছবির সত্যতা যাচাই
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই প্রযুক্তি এখনও কিছু ক্ষেত্রে দুর্বল, যেমন হাতের আঙ্গুলের সংখ্যা বা মুখের অভিব্যক্তি। এই ছবিগুলোতে এমন কিছু অস্বাভাবিকতা দেখা যায়, যা দেখে বোঝা যায় যে এগুলো এআই দ্বারা তৈরি। উদাহরণস্বরূপ, ছবিতে ট্রাম্পের হাতের আঙ্গুলের সংখ্যা সঠিক নয় বা মুখের অভিব্যক্তি অস্বাভাবিক।BBC News
সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
এই ধরনের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে, যা অনেক ব্যবহারকারীকে বিভ্রান্ত করেছে। কিছু ব্যবহারকারী এই ছবিগুলোকে সত্যি মনে করে মন্তব্য করেছেন, যা ভুয়া তথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক।
কিলমার আব্রেগো গার্সিয়া একজন মেরিল্যান্ডের বাসিন্দা, যিনি কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। তাকে ভুলবশত এল সালভাদরে নির্বাসিত করা হয়, যা একটি আদালতের আদেশের পরিপন্থী। বর্তমানে তিনি সেখানে একটি কারাগারে বন্দী রয়েছেন।

ছবি: orfonline
ডিজিটাল সচেতনতা ও প্রতিরোধ
এই ঘটনার পর বিশেষজ্ঞরা ডিজিটাল সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করার আগে তথ্যের সত্যতা যাচাই করা উচিত। এছাড়াও, এআই প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
এই ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, প্রযুক্তির যুগে তথ্য যাচাইয়ের গুরুত্ব কতটা। ফটোশপ বা অন্যান্য সফটওয়্যারের মাধ্যমে ছবি সম্পাদনা করে ভুল তথ্য প্রচার করা সহজ হয়েছে, যা জনমতকে প্রভাবিত করতে পারে।