বুয়েটের নওস্ক্রিনিক্স: জনস হপকিন্স ডিজাইন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন

বুয়েটের ‘নওস্ক্রিনিক্স’ দল জনস হপকিন্স হেলথকেয়ার ডিজাইন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণ প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য স্বীকৃত। ছবি: ডেইলি ষ্টার
আন্তর্জাতিক মঞ্চে বুয়েটের সাফল্য
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থীর দল ‘নওস্ক্রিনিক্স’ ২০২৫ সালের জনস হপকিন্স হেলথকেয়ার ডিজাইন প্রতিযোগিতায় ডিজিটাল হেলথ ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এই প্রতিযোগিতায় ২০০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪০টিরও বেশি দল অংশগ্রহণ করেছিল। The Daily Star
উদ্ভাবনী প্রযুক্তি: নওস্ক্রিনিক্স
‘নওস্ক্রিনিক্স’ একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক স্ব-পরীক্ষা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং ডিভাইস, যা মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ শনাক্ত করতে সহায়তা করে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ ইন্টারফেস, পোর্টেবল ইমেজিং ডিভাইস এবং উন্নত AI অ্যালগরিদম সংযুক্ত করে, যা প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্তকরণে কার্যকর। The Daily Star
দলের সদস্য ও নেতৃত্ব
দলের সদস্যরা হলেন: ফাহমিদা সুলতানা (প্রকল্প ডিজাইনার), এইচ এম শাদমান (মেশিন লার্নিং ডেভেলপার), মো. হাসনাইন আদিল (ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপার), সাদাতুল ইসলাম (ব্যাকএন্ড ডেভেলপার) এবং প্রিথু আনান (হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার)। দলের নেতৃত্বে ছিলেন ফাহমিদা সুলতানা।
প্রতিযোগিতার যাত্রা ও পুরস্কার
দলটি পূর্বে একটি স্থানীয় প্রতিযোগিতায় স্বীকৃতি না পেলেও, সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদের প্রকল্পটি উন্নত করে। ২০২৫ সালের মার্চে তারা ছয়টি গ্লোবাল ফাইনালিস্ট দলের মধ্যে নির্বাচিত হয় এবং এপ্রিল মাসে চূড়ান্ত প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করে। তারা $৫,০০০ পুরস্কার জিতেছে, যা তারা ভবিষ্যতে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে। The Daily Star
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও সামাজিক প্রভাব
‘নওস্ক্রিনিক্স’ দলটি বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তাদের প্রযুক্তি জনসাধারণের জন্য সহজলভ্য করার লক্ষ্যে কাজ করছে। তারা দেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে প্রযুক্তিটি স্কেল আপ করার পরিকল্পনা করছে। The Daily Star