ডিসেম্বরের পর নির্বাচন পেছানো অনুচিত: সালাহউদ্দিন আহমেদের মন্তব্য

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ডিসেম্বরের পর নির্বাচন পেছানোর কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি সময়মতো নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে মত দিয়েছেন। বিস্তারিত পড়ুন। ছবিঃ সাজিদ আহমেদ
প্রাসঙ্গিক ভূমিকা
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সময়মতো নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক চলমান থাকলেও, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে নির্বাচন ২০২৫ এর সময়সীমা ডিসেম্বরের মধ্যেই হওয়া উচিত। তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই। তার মতে, নির্বাচন পেছানোর কোনো যৌক্তিক কারণ নেই এবং এটি শুধুমাত্র অজুহাতস্বরূপ ব্যাখ্যা করা হতে পারে।
বিএনপির অবস্থান
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বিএনপি সবসময় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ২০২৫ চায়। নির্বাচন পেছানো হলে রাজনৈতিক সংকট বাড়তে পারে, যা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করবে। এসময় তিনি নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা এবং প্রস্তুতির গুরুত্বও তুলে ধরেন। বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, নির্বাচন হোক জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন, কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর চাপের ফসল নয়।
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই ২০২৫ সালের জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে। সালাহউদ্দিন আহমেদের মতে, কমিশনকে তার সাংবিধানিক দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। নির্বাচন আয়োজনের জন্য ডিসেম্বর সময়টি যথেষ্ট উপযুক্ত, এবং কোনো বাহ্যিক চাপে এ সময়সীমা পরিবর্তন করা উচিত নয়। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব পক্ষকে দায়িত্বশীল হতে হবে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন নির্বাচনকে ঘিরে অস্থিতিশীলতা না তৈরি করে। তিনি মনে করেন, সকল রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত চেষ্টায় একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ২০২৫ সম্ভব। তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকা স্বাভাবিক, তবে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সবার উচিত সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
জনগণের প্রত্যাশা
দেশের সাধারণ জনগণ একটি নিরপেক্ষ এবং নির্ধারিত সময়মতো নির্বাচন চায়। তারা চায় একটি স্থিতিশীল সরকার, যারা দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করবে। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণ করাই রাজনীতিবিদদের প্রধান দায়িত্ব। সময়মতো নির্বাচন না হলে তা জনগণের আস্থাকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে এবং রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বাংলাদেশে সময়মতো, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উপর গুরুত্বারোপ করেছে। সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, নির্বাচন বিলম্বিত হলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে, উন্নয়ন সহযোগীরা যেভাবে গণতন্ত্রের স্বচ্ছতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে, তাতে নির্বাচন নিয়ে বাড়তি জটিলতা সৃষ্টির সম্ভাবনা এড়ানো উচিত।