পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ ভারতের মিসাইল হামলাকে ‘যুদ্ধের ঘোষণাপত্র’ বলে

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ভারতের মিসাইল হামলাকে ‘যুদ্ধের স্পষ্ট ঘোষণা’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, পাকিস্তান এর বিরুদ্ধে একটি ‘যথাযথ জবাব’ দেবে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হতে চলেছে। ছবি: রেউটুসে
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া: ‘যুদ্ধের ঘোষণা’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ভারতের মিসাইল হামলাকে ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ বলে অভিহিত করেছেন। গতকাল ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের সীমানায় একাধিক মিসাইল হামলা চালিয়েছে, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ভারতের এই আক্রমণকে পাকিস্তান সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে দেখছে এবং তাদের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, “এটি শুধুমাত্র এক প্রকার ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ এবং পাকিস্তান এর বিরুদ্ধে যথাযথ প্রতিক্রিয়া জানাবে।
ভারতের হামলা: পরিস্থিতি কেন উত্তপ্ত হল?
ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলাগুলি পাকিস্তানি সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে, যারা ভারতের ভূখণ্ডে আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা করছিল। ভারতের দাবি, হামলাগুলি পাকিস্তান সীমান্তে শত্রু বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে করা হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান সরকার একে একটি একতরফা আক্রমণ হিসেবে দেখছে, যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে। এর পরপরই পাকিস্তান তাদের সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক ডেকেছে।
পাকিস্তান প্রস্তুতি নিচ্ছে: ‘যথাযথ জবাব’ আসছে
পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ভারতের এই আক্রমণের জন্য যথাযথ প্রতিক্রিয়া জানাবে। শেহবাজ শরিফ আরো বলেন, “আমরা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে কোনো আক্রমণ মেনে নেব না এবং যে কোনো পরিস্থিতিতে আমাদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রস্তুত।” পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের সীমান্তে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেছে এবং ভারতের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। পাকিস্তানের মন্ত্রিপরিষদও এ বিষয়ে জরুরি বৈঠক করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ভারতের এই আক্রমণের নিন্দা জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: পরিস্থিতি কি আরও খারাপ হবে?
এ মুহূর্তে দুই দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বাড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি দুই দেশ একটি যুদ্ধের দিকে চলে যায়, তবে তা শুধু দক্ষিণ এশিয়ার জন্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের জন্যই বিপজ্জনক হতে পারে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারত এবং পাকিস্তানের এই সামরিক উত্তেজনার প্রতি বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে, বিশেষ করে জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শক্তিশালী দেশগুলোর পক্ষ থেকে। যদিও এখন পর্যন্ত, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে কোনো সরাসরি হস্তক্ষেপ দেখা যায়নি, তবে পরিস্থিতি যে আরো উত্তপ্ত হতে পারে, তা স্পষ্ট।
শান্তির দিকে কোনো আলো?
বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞরা পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে এই উত্তেজনা কমানোর জন্য দ্রুত কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছেন। যদিও দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্ত উত্তেজনা এবং সামরিক সংঘর্ষ হয়েছে, তবে উভয় দেশের নেতাদের পক্ষ থেকে এখনও কোনও শান্তির প্রস্তাব সামনে আসেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে কূটনৈতিকভাবে উত্তেজনা প্রশমিত করা একমাত্র উপায়।