ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের ছায়ায় আতঙ্কিত সীমান্তবাসী: “আমরা পালিয়ে এসেছি”

ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্ত উত্তেজনার কারণে পাহাড়ি অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষ নিরাপদ স্থানে পালাচ্ছে। পড়ুন তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও মানবিক সংকট নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন। ছবি: স্ট্রেঞ্জর
গোলাগুলির শব্দে জীবন থমকে গেছে
সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় সীমান্তবর্তী অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। যুদ্ধের সম্ভাবনা মাথায় রেখে বহু পরিবার পাহাড়ি গ্রাম ও বসতি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে গেছে। গোলাগুলি, বিস্ফোরণের শব্দ আর সেনা উপস্থিতির ভয়—সবকিছু মিলে তারা আজ চরম অনিশ্চয়তার মুখোমুখি।
পাহাড়ি জনপদের বাস্তবতা: শিশু-বৃদ্ধ সবাই বিপদে
জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী সাধারণ জনগণ হঠাৎ করে ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। দিনের আলো ফুরানোর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় আতঙ্ক—কখন কোনো গুলি এসে পড়ে, বলা যায় না। পরিবারের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অনেকেই অল্প কিছু জিনিস নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে নিরাপদ অঞ্চলগুলিতে। অনেক শিশু-বৃদ্ধরা ঠাণ্ডা, অনাহার ও উদ্বাস্তুর মত অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
সীমান্তে সেনা মোতায়েন ও সতর্কতা
ভারতীয় সেনাবাহিনী ও পাকিস্তানি বাহিনী উভয় পক্ষই সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন বৃদ্ধি করেছে। গ্রামে গ্রামে টহল, পাহাড়ি রাস্তায় ব্যারিকেড, এবং প্রাথমিক চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন—এসব চলছে জরুরি ভিত্তিতে। নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন তাদের প্রথম দায়িত্ব। তবে স্থানীয়দের মতে, এই পরিস্থিতি তাদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলছে।
স্থানীয়দের আর্তি: “আমরা যুদ্ধ চাই না”
সীমান্তবর্তী এলাকার অনেক বাসিন্দা বলেছেন, “আমরা শান্তি চাই। রাজনীতি আর সন্ত্রাসের বলি হতে চাই না।” তারা সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছেন যেন দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান করা হয় এবং তারা আবার নিজের ঘরে ফিরে যেতে পারেন। তাদের চোখে মুখে শুধুই আতঙ্ক, দুশ্চিন্তা ও ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: সহানুভূতির আহ্বান
মানবাধিকার সংগঠন এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো সীমান্ত অঞ্চলের মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, যুদ্ধ শুধু সামরিক ক্ষতি নয়, এটি সাধারণ মানুষের জীবনে দুর্যোগ ডেকে আনে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সহানুভূতি এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছানো প্রয়োজন।